[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

দীর্ঘ দুই যুগ পর পূর্ণাঙ্গ রূপে উদ্বোধনের অপেক্ষায় আনোয়ারা কালীগঞ্জ সেতু।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শেখ আবদুল্লাহ

আনোয়ারা(চট্রগ্রাম) প্রতিনিধি।

 

দীর্ঘ দুই যুগ পর পূর্ণাঙ্গ রূপ পেল আনোয়ারা-পটিয়া সংযোগ সড়কের কালীগঞ্জ সেতু। দুই উপজেলার মধ্যবর্তী সংযোগ স্থাপনকারী মুরালি খালের ওপর ৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি নির্মাণের ফলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে আনোয়ারা ও পটিয়া উপজেলায়। পাশাপাশি আনোয়ারা ও পশ্চিম চন্দনাইশের সঙ্গে পটিয়ার বিরাট একটি অংশের জনগণের যাতায়াত আরও সহজ হয়েছে।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সেতুটির ওপর দিয়ে চলছে যানবাহন। আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি উদ্বোধন করা না হলেও পুরাতন ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। ফলে ঝুঁকিমুক্ত চলাচল নিশ্চিত হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে দুই উপজেলার মানুষের মধ্যে। সেতুর দুই পাশে ৫০০ মিটার সংযোগ সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজও শেষ হয়েছে। শুধু ফিনিশিং ও রংয়ের কাজ বাকি রয়েছে। ভাঙ্গন রোধে সেতুর দুই পাশে ৫০০ মিটার বসানো হয়েছে সিসি ব্লক। এক সপ্তাহের মধ্যে অবশিষ্ট কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে জানান প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের সঙ্গে সংযুক্ত পটিয়া উপজেলার আশিয়া ইউনিয়ন। এই দুই উপজেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী সীমা রেখা হচ্ছে কালীগঞ্জ সেতু। স্বাধীনতার পূর্বে ১৯৭০ সালে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মাঝখানে যুদ্ধাবস্থায় এক বছর বন্ধ থাকার পর ১৯৭২ সালে ব্রিজটি নির্মিত হয়। নির্মাণের কয়েক বছর পর মুরালি খালের ভাঙ্গনে সেতুটি আলাদা হয়ে যায়। তখন দুই পাশে স্টিলের বেইলি ব্রিজ দিয়ে সেতুটির সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। প্রায় দুই যুগ ধরে জোড়াতালি দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে এ ব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। যখন পিএবি সড়ক ছিল না তখন পূর্ব আনোয়ারার মানুষ এই পথ দিয়ে চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করত। পূর্বে এই সড়কে বাসের লাইন থাকলেও সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে বাসের লাইন বন্ধ রয়েছে।

 

সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সূত্রে জানা গেছে, দোহাজারী সড়ক বিভাগ কর্তৃক ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন আনোয়ারার সংসদ সদস্য, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। ৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পিসি গার্ডার বিশিষ্ট সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯০ মিটার এবং প্রস্থ ৪ লাইনের স্ট্যান্ডার্ড বিশিষ্ট ১০ দশমিক ২৫ মিটার। তিন স্পেনের এই ব্রিজ ৪টি পিলারে নির্মিত হয়েছে।

 

সেতুর দুই পার্শ্বে ৫০০ মিটার সড়ক সড়কসহ ভাঙ্গন রোধে সিসি ব্লক বসা বসানো হয়েছে। দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হতে পারে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *